কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:০৩-০৪-২৪
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিজারের বিল পরিশোধ করতে না পারায় এক নবজাতক সন্তান বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে।
পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিশুকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ উলিপুর থানা পুলিশ।
পুলিশের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,উলিপুর উপজেলার মনারকুটি গ্রামের গোলাম হোসেনের স্ত্রী শিরিনা আক্তার সিজারের মাধ্যমে গত ২৩ মার্চ একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। স্বামী খোঁজ -খবর না নেয়ায় বাধ্য হয়ে সিজারের টাকা পরিশোধের জন্য গত ২৬ মার্চ অজ্ঞাত স্থানে একমাত্র নবজাতক সন্তানকে বিক্রি করে দেয় শিশুটির মা। বিষয়টি নবজাতকের বাবা হাবিবুর রহমান জানতে পেরে ৩ এপ্রিল বুধবার দুপুরের দিকে নবজাতক সন্তানকে ফিরিয়ে পেতে উলিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে উলিপুর থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদ ভিত্তিতে পার্শ্ববর্তি রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের রামশিং মুন্সি পাড়া এলাকার পারভিন আক্তার (৩০) তার ভাগনি নিঃসন্তান সেলিনা বেগমের নিকট হতে নবজাতককে উদ্ধার করে। এসময় জানা যায় এক লাখ টাকায় নবজাতককে কিনে নিয়েছেন তারা। পরে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি সার্ভিস ডেস্কের মাধ্যমে নবজাতকে উদ্ধার করে তার প্রকৃত পিতা-মাতার কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটিকে উদ্ধারের পর পারভিন বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। অন্যদিকে সন্তানকে ফিরে পেয়ে দারুণ আনন্দিত তার বাবাসহ তাদের আত্মীয় স্বজনেরা। এছাড়াও তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিবাদ ছিল। সেটিও মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে।#