কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে বদলেছে কারগারের চিত্র
ফজলুল করিম ফারাজী কুড়িগ্রাম।
জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও দেশের পরিস্থিতির পট পরিবর্তনের ঘটনায় সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল।এসব উত্তরণে কয়েদিদের নিরাপত্তা ও ত্রুটি যুক্ত ব্যবস্থাপনা নজরে আসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর।জেলা কারাগারে নিরাপত্তার দায়িত্বে সহযোগীতা স্বরুপ যুক্ত হয় ৯ সেনা সদস্য।বিভিন্ন শিফটে জেল পুলিশের সাথে নিরলসভাবে কাজ করে জেলা কারগারের আমুল পরিবর্তন এনেছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

জেল সুপার এজি মাহমুদ এর সাথে কারাগারের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলছেন ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপটেন সাফায়েত হোসেন।
কথা হয় নাগেশ্বরী খেকে আসা কয়েদির আত্মীয় শামীম মিয়া তিনি জানান,৫ই আগস্টের আগে কয়েদিদের সাথে দেখা করা,তাদের জন্য শুকনো খাবার পাঠানো,পিসি (কয়েদিদের জন্য টাকা) লাগানো এসবে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে কিন্তু বর্তমান সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে কারাগারে শৃংখলা ফিরেছে।
মোঃ নুর ইসলাম সৈকত বলেন, আগে কয়েদির সাথে দেখা করতে টাকা লাগতো এখন লাগেনা।আবার পিসি লাগিয়ে দিলে ওখানে কম পাইতো এখন সে সমস্যাগুলাও হয়না।খাবারের মানও আগের তুলনায় ভালো হইছে।
কুড়িগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাফায়েত হোসেন বলেন,৫ আগস্টের পর দেশের কারাগার গুলো অরক্ষিত হয়ে পড়েছিলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দক্ষতার সাথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।সেই সাথে কারাগারের ভিতরের নানা অনিয়ম,খাবারের মান যাচাই, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ সব দিকেই আমরা নজর রাখছি। এবং জেলার আইন শৃংখলা, মাদক নিয়ন্ত্রণ সহ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম জেলার জেল সুপার এ.জি মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের আগে কারাগারে অনিয়ম ও ত্রুটি ছিলো আমরা সেগুলো দূর করেছি।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরাপত্তা সহ সকল ক্ষেত্রেই আমাদের সহযোগিতা করছে। তারা প্রতিদিন খাবারের মান যাচাই করছে। সবার সার্বিক সহযোগিতায় যাতে কুড়িগ্রামবাসী একটা ভালো সেবা পায় আমরা সে চেষ্টাই করছি।