ঢাকা৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নদী ভাঙনরোধ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাবো- ডা. হামিদুল হক খন্দকার

প্রতিবেদক
admin
মে ১, ২০২৪ ৪:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি-২৭ এপ্রিল
কুড়িগ্রাম-২ আসনে জাতীয় পার্টির দুর্গ ভেঙে দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হামিদুল ঞক খন্দকার। তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক এমপি পনির উদ্দিন আহমেদকে ৫৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হবার পর ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের (পঙ্গু হাসপাতাল) সাবেক পরিচালক ডা. হামিদুল হক খন্দকার তাঁর নির্বাচনী এলাকার সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করেছেন।
দৈনিক কালের কণ্ঠকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি সমস্যা সমাধানে তাঁর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

হামিদুল হক খন্দকার জানান, কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলার নিয়ে গঠিত তাঁর নির্বাচনী এলাকার প্রধান সমস্যা নদী ভাঙন ও বন্যা। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তার ভাঙনে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ আবাদী জমি ও বাড়িঘর বিলীন হচ্ছে। কৃষি নির্ভর এই এলাকায় রয়েছে কর্মসংস্থানের দারুণ অভাব। সীমান্ত এলাকায় হিসেবে মাদকের বিস্তারও কম নয়। রয়েছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও মানসম্মত শিক্ষার অভাব। এই সমস্যাগুলো সমাধানকল্পে তিনি কাজ শুরু করেছেন বলে জানান।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামের উন্নয়নের ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। সম্প্রতি তিনি সচিবদেরকে কুড়িগ্রামের উন্নয়নের ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই অন্যান্য তিন এমপিকে সঙ্গে নিয়ে স্মার্ট, আধুনিক ও দারিদ্র্যমুক্ত কুড়িগ্রাম গড়ার লক্ষ্যে অচিরেই একগুচ্ছ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ভুটানের রাজা কুড়িগ্রাম সফর করেছেন। জেলায় বিশেষ অর্থনৈতিক অ ল হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে কাজ শুরু হবে বলে রাজা নিজেই আশার বাণী শুনিয়েছেন।

নদী ভাঙন প্রতিরোধে চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও দ্রæত নতুন প্রকল্প গ্রহনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
ডা. হামিদুল হক খন্দকার বলেন, ‘জাতীয় সংসদে আমরা ১২জন চিকিৎসক সংসদ সদস্য নিবাচিত হয়েছি। উপজেলা ও জেলা হাসপাতালোতে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি ও দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সমন্বিত পরিকল্পনা পেশ করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। যে অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি জানান, ২৫০ শয্যা কুড়িগ্রাম জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট নিরসনে তিনি কাজ করছেন। কুড়িগ্রামে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শিক্ষায় অনগ্রসরতা কাটাতে এরই মধ্যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রত্যেকটি উপজেলায় শিক্ষকদের নিয়ে পৃথক পৃথক মতবিনিয়ময় সভা শুরু করেছেন তিনি। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি চলতি বছর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অবকাঠামো ও জনবল কাঠামো অনুমোদনের কাজও দ্রæত শেষ হবে। তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এলাকার অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী পড়ার সুযোগ পাবে। মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দায়িত্ব নেয়ার জন্য তিনি এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন।

হামিদুল হক খন্দকার যোগাযোগ ও বিনোদনের উন্নয়নে তাঁর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, ‘রাস্তা, ব্রিজ ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে এরই মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। শীঘ্রই এর সুফল পাওয়া যাবে। এছাড়া শেখ কামাল হাইটেক পার্ক নির্মাণ, শেখ রাসেল শিশু পার্কের দ্রæত বাস্তবায়ন, প্রবাসে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে আরো কার্যকর করার উদ্যোগের কথা জানান তিনি।