ভূরুঙ্গামারী থেকে ফিরে – আব্দুল কাদের
ঘড়ির কাটা তখন ১১ টা। সংঘ প্রকল্পের নাজমুল স্যারসহ ভূরুঙ্গামারী ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায়। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ( আর এম ও), মেডিকেল অফিসারগণ ছুটিতে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দরজার সামনে র্দীঘ লাইন। সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাড়িঁয়ে আছে বয়োবৃদ্ধ, গর্ভবতী মা ও শিশুসহ নানান বয়সের নানান রোগের নারী-পুরুষ। দরজা খুলতেই একগাল হাসি দিয়ে বলে উঠলেন- কাদের সাহেব আমার অফিসে আপনাকে স্বাগতম। রুমের ভিতর ৮-১০ টি চেয়ারেও রোগি ক্রম অনুসারে বসে আছে। আহ্ কি চমৎকার দৃশ্য। মন টা ভরে গেল। সময় নিয়ে রুমের ভিতরের রোগিদের চিকিৎসা পরার্মশ দিয়ে কথা হল মিনিট পাঁচেক।
বঙ্গ সোনাহাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা শেফালী বেগম (৪৯) বলেন- স্যার (ডা. সায়েম) খুব সুন্দর করে চিকিৎসা দেয়। খুব সুন্দর করে কথা বলে ( রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়) । স্যার কে দেখার জন্য ( চিকিৎসা পরামর্শ নেয়ার জন্য) অনেক দূর থেকে আসি। হামরা খুব খুশি।”
দেওয়ানের খামার থেকে এসেছেন শাপলা (৪০), বলেন- “স্যার হামার গরিবের ডাক্তার।” চর নলেয়া’র মমতাজ (১৯) , বাগভান্ডর’র শিউলি (৪০) একই কথা বলেন।
সংঘ প্রকল্পের কনসালটেন্ট মো. নাজমুল হক হলেন- “দীর্ঘদিন ডা. সায়েম স্যারের সাথে কাজ করছি। আমার জানা মতে স্যারের মতো মানুষ বিরল। ডা. সায়েম স্যার মানবিক ডাক্তার।”
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ভূরুঙ্গামারী মহোদয় বলেন- “ প্রশাসনিক কাজে মাঝেও নিয়োমিত রোগি দেখি। রোগি দেখা আমার দ্বায়িত্বের মধ্যেও পরে। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে রোগিরা আসে , না পরামর্শ পেলে তাদের মন টা খারাপ হয়ে যায়। দায়বোধ থেকে এ কাজ করছি। দিন শেষে আমার পরিচয় আমি ডাক্তার।”আমাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাককু এমন মানবিক ডাক্তার।