কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ ১৭ এপ্রিল
পিয়াজ বিক্রি করতে এসে সিন্ডিকেটের খপ্পরে পরে হামলার স্বীকার হয়ে নগদ অর্থ ও পিয়াজ হারিয়ে পথে বসেছেন মিলন (৩৫) ও নজরুল (৪০) নামের দুই কৃষক।এ ঘটনায় প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
আহত মিলন ও নজরুল ইসলাম সম্পর্কে আপন ভাই। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা যাত্রাপুর ইউনিয়নের কালির আলগা গ্রামের মোঃ আব্দুর রশিদের ছেলে।বর্তমানে আহতরা কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে গত শনিবার ১৩ এপ্রিল দুপুরে যাত্রাপুর হাটে এ ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় জেঠাতো ভাই মোঃ সোলায়মান আলী কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন
মামলা সুত্রে জানা গেছে,গত ১৩ এপ্রিল শনিবার দুপুরে মিলন ও নজরুল ইসলাম নিজ ক্ষেতের ৩০ মন পিয়াজ নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্য যাত্রাপুর হাটে আসেন।হাটে রৌমারী উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের এক পাইকারের কাছে দরদাম ঠিক হয়। তবে পিয়াজ ওজন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন দুই ভাই। সবগুলো পিয়াজ ওজন করার পর ১৫ কেজি পিয়াজ বেশি হয়।মিলন ও নজরুল পাইকারের কাছে বাড়তি ১৫ কেজি পিয়াজের ন্যায্য মুল্য চান। কিন্তু পাইকার বাড়তি পিয়াজের দাম দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাদের মধ্যে শুরু হয় বাকবিতন্ডতা। এক পর্পযায়ে মিলন ও নজরুল ওই পাইকারের কাছ পিয়াজ বিক্রি করবে না জানিয়ে নিজের পিয়াজের বস্তা অটো গাড়িতে তুলে বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা হন।এসময় হঠাৎ যাত্রাপুর হাটের স্থানীয় সুমন, মাহাবুব, আজগর, আল আমিন, আজিজুর, আনিচুর, রাসেল, তুহিন ও ওসমান পাইকারের পক্ষ নিয়ে সোলায়মান ও নজরুলের অটো গাড়ি পথ রোধ করে সন্ত্রাসী কায়দায় দুই ভাই নজরুল ও মিলনের মাথায়, হাত ও পায়ে ধারালো ছোরা, লোহার রড ও কাঠের বাতা দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।মারপিটে গুরুতর আহত হলে এ সুযোগে মিলনের লুঙ্গীর প্যাচে থাকা ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন হামলাকারীরা।পরে অটোতে থাকা বিক্রিযোগ্য ২৪ বস্তা পিয়াজ প্রায় ৩০ মন আনুমানিক মুল্য ৫১ হাজার ঘাড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছে আহতদের বড় ভাই সোলায়মান আলী। তবে মামলার রেকর্ড বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন সদর থানার পুলিশ।
উল্লেখ যে, কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর হাট একটি ঐতিহ্যবাহী হাট।সারাদেশে এ হাটের সুনাম রয়েছে। তবে দিন দিন এ হাটে বেড়েই চলছে নানান অপকর্ম।চরাঞ্চলের মানুষের জন্য এই হাটটি বিশ্বাস আর আস্থার হাট হলেও বর্তমানে হাটের আশপাশের মানুষের প্রভাবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন হাটুয়ারা।প্রতি হাটে সিন্ডিকেটদের খপ্পরে পড়ে বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। এমন পরিস্থিতি সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়লেও কারো কাছে বিচার চাওয়া কিংবা প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই তাদের।জন নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।
কুড়িগ্রাম সদর থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন জানান,এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ এসেছে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।