সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সড়কে বেড়েছে যানজট। গন্তব্যে পৌঁছাতে অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রীদের দীর্ঘসময় অতিবাহিত হচ্ছে। এতে করে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও রোজাদার ব্যক্তিরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সরেজমিনে বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি ও আগারগাঁওসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে যানজটের তীব্রতা লক্ষ্য করা গেছে। সকালে যানজটের পরমাণ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েই চলেছে।
সকালে সড়কে যানজটের ফলে অফিসগামী অনেককেই হেঁটে রওনা দিতেও দেখা গেছে। বেশি কষ্টের মুখে পড়তে হচ্ছে রোজাদার ব্যক্তিদের
বাড্ডা থেকে বিজয় সরণি যাবেন চাকরিজীবী মাসুম হাসান। তিনি বলেন, বাসে ওঠার পর থেকেই জ্যাম শুরু। থেমে থেমে মহাখালী পর্যন্ত আসছি। এখন বাকি রাস্তা যেতে কতক্ষণ লাগবে কে জানে!
আরেক চাকরিজীবী শেখ ইমরান বলেন,রোজা রেখে জ্যামের মধ্যে বসে থাকা কষ্টকর। তাই হেঁটেই রওনা দিয়েছি।
শিক্ষার্থী সঞ্জয় রায় যাবেন ফার্মগেটে। তিনি বলেন, বনানী থেকে বাসে চড়েছি। প্রায় ঘণ্টাখানেক হয়ে যাবে, এখনো পৌঁছাতে পারিনি। রোজা রেখে এমন ভোগান্তি বেশ কষ্টকর।
বাসচালকরা বলছেন, সড়কে অন্যান্য দিন যানজট থাকলেও বৃহস্পতিবার গাড়ির চাপ বেশি থাকে। সে কারণে এদিন তীব্র যানজট লেগে থাকে।
বিআরটিসি বাসের চালক লুৎফুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাস্তাঘাটে চাপ একটু বেশি থাকে। দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকেই ঢাকার বাইরে বা বাড়িতে যায়। ফলে রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্র্যাফিক গুলশান বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার (এসি) আরিফুল ইসলাম রনি বলেন, রাস্তায় গাড়ির চাপ রয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত তা স্বাভাবিক। গতকাল গাড়ির চাপ আরও বেশি ছিল, সেই তুলনায় আজকে একটু কম। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত যানজট বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছি আনতে কাজ করছি।