কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
সারা বাংলাদেশে জুয়া ক্যাসিনো খেলা বন্ধ ও অপরাধীদের ধরতে পুলিশ প্রশাসন যখন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই সময়ে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বীরদর্পে ক্যাসিনো খেলা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের ক্যাসিনো সম্রাট মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় স্থানীয় সুশীল সমাজ ও অভিভাবকগণ তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন।দ্রূত ক্যাসিনো জিয়াকে আইনের আওতায় এনে যুব সমাজকে জুয়ার হাত থেকে রক্ষার দাবি জানাচ্ছেন অভিভাবকরা।
জানা গেছে,কুড়িগ্রাম জেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের কাঠ মিস্ত্রি মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া। নিম্ন বৃত্ব পরিবারের সন্তান হয়ে বিলাসী জীবন যাপন ও কোটি টাকা বনে যাওয়ার ঘটনায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।৩ বছরে বিভাগীয় শহর রংপুরে জমি কেনা,সপ্তাহে বিদেশ ট্যুর,সমাজে বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা,ভিআইপি দের সাথে উঠাবসা স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।ব্যবসা বাণিজ্য নেই,জমিজমা নেই গৃহ শিক্ষক হয়ে মাসে লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে নিজের পরিবর্তন আনলেও ওই এলাকার শতাধিক যুবক নিঃস্ব বনে গেছে।সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছে অভিভাবকরা।সমাজ নষ্টের মুল জিয়াউর রহমান জিয়াকে দ্রূত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানাচ্ছে স্থানীয়রা।
ক্যাসিনোর সাথে জড়িত বেগমগঞ্জ মোল্লাহাটের বাসিন্দা মোঃ আলমগির,বাবু ওরফে ক্যাকরা বাবুসহ এই চক্রটি এলাকায় ক্যাসিনো সিন্ডিকেট হিসাবে পরিচিত।
নিঃস্ব হওয়া পরিবার থেকে বিছিন্ন মোঃ জাহিদ বলেন,১৫ দিনের মধ্যে লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখান জিয়া।জিয়া প্রথমে ক্যাসিনো একাউন্ট খোলার জন্য ৪৩ হাজার টাকা নেয়।পরে পর্যায় ক্রমে প্রায় ১৪ লাখ টাকা ক্যাসিনো খেলে শেষ করি।ঋন, ধারদেনা মানুষকে মিথ্যা বলে টাকা নিয়ে সব ক্যাসিনোতে শেষ করি।আমি দোকানের ফ্রীজ বিক্রী করে টাকা দেই।ক্যাসিনোর প্রলোভনে পড়ে আমি বর্তমানে ঋনের চাপে পলাতক আছি।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন,কুড়িগ্রামে ক্যাসিনো জুয়া খেলা বন্ধে পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।