কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ ২৮ এপ্রিল
কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মৎসচাষী ফারুক মন্ডল ৫ হাজার টাকায় জি-৩ রেনুপোনা কিনে সেই পোনা বিক্রি করে এখন লাখপতি।
তিনি জানান গত সেপ্টেম্বর মাসে রংপুর থেকে ৫ হাজার টাকার উন্নত জাতের ৫ শত গ্রাম রেনু সংগ্রহ করি। ৬ মাস পর পোনা গুলো আঙ্গুল সাইজের হলে ৩ শত ৫০ টাকা দরে বিক্রি করি। এ মাছ যেমন সুস্বাধু ওজন হয় ৬-৭ কেজি। মাছ গুলো পুকুরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাফাডাঙ্গা গ্রামের মৎসচাষী উমর ফারুক মন্ডল আরও বলেন এতদিন পর্যন্ত আমি সনাতন পদ্ধতিতে পুকুরে মাছ চাষ করে আসছিলাম। উন্নতজাতের জি-৩ রুইপোনার সন্ধান পাই রংপুরে। গত সেপ্টেম্বরে সেখান থেকে ৫ হাজার টাকায় ৫শ’গ্রাম রুই মাছের রেনু ক্রয় করি। সেখান থেকে আড়াই থেকে ৩ লাখ রেনু মাছ পাওয়া যায়। দুইমাস শৈত্যপ্রবাহ শেষে চলতি এপ্রিল মাসে পোনা মাছ গুলো আঙ্গুল সমান হয়। সে গুলো ওজন হয ২ শত ৮৬ কেজি। বিক্রি করি ৩ শত ৫০ টাকা দরে। লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করি। আরো ৮শ’ কেজি রেনুপোনা বিক্রি করতে পারবো। এছাড়াও পোনাগুলো এক বছর পুকুরে রাখলে বেশি লাভবান হবে।
মৎসচাষী ফারুক মন্ডল জানায় এই মাছ দ্রুত বাড়ে ও লাভজনক। ৫ শত গ্রাম রুইপেনা উৎপাদনে খাবার ও পরিচর্চা বাবদ খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। মাছ বিক্রি করে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আমার লাভ হবে।
এ প্রসঙ্গে রংপুর আরডিআরএস’র সমন্বিত কৃষি ইউনিটের টিম লিডার বিদ্যুৎ কুমার সাহা জানায় সাধারণ রুই মাছের তুলনায় এই মাছের গ্রোথ ৩০গুণ বেশি। এ মাছ চাষে মৎসচাষীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিনামূল্যে এই রেনুপোনা সরবরাহ করছি। যাতে কুড়িগ্রামে মৎস চাহিদা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। কৃষকরা অধিক লাভবান হয়।